ওয়েব ডেস্ক: এ যেন গোদের উপর বিষফোঁড়া! মঙ্গলবারের জল যন্ত্রণা কাটিয়ে যখন ধীরে ধীরে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে শুরু করেছে শহর কলকাতা তখন আরও এক নতুন সমস্যা এসে জুটল। ফেটে গেল বাগমারি বুস্টার পাম্পিং স্টেশনের ভালভ। আসলে এই বুস্টার পাম্প থেকে উত্তর কলকাতার ৪টি ওয়ার্ডের মানুষজন পানীয় জল পান। পানীয় জল বলতে পুরসভার কলের জলই ভরসা। তাই আচমকা এই পাম্পিং স্টেশনের ভালভ ফেটে পড়ায় জলের সংকট তৈরির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার রাত থেকে শুরু হওয়া একটানা ৫ ঘণ্টার রেকর্ড বৃষ্টিপাতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল কলকাতা ও শহরতলী। প্রবল বৃষ্টিতে জলমগ্ন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল উত্তর থেকে দক্ষিণ কলকাতায়। শহর কলকাতার নানান জায়গায় জমা জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। জমা জল সরাতে মেয়র ফিরহাদ হাকিমের নিজেও জল সরানোর কাজে উদ্যোগী হন। পুর নিরগমের কর্মীরা দিনরাত এক করে জমা জল সরানোর কাজে হাত লাগান। এখন জল জন্ত্রনার অনেকটা কমেছে। তবে এখনও জলের তলায় কাঁকুড়গাছি, কসবা, সুকিয়া স্ট্রিট, বালিগঞ্জ সহ কলকাতার একাধিক এলাকা। এখনও কর্মীরা কাজ করে চলেছেন। তারই মাঝে নতুন এক বিপত্তি মাথা চাড়া দিয়ে উঠল!
আরও পড়ুন: ফের নিম্নচাপের ভ্রুকুটি! ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা দক্ষিণবঙ্গে
কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, গতকাল মঙ্গলবার রাতে হথাত বাগমারি বুস্টার পাম্পিং স্টেশনের ভালভ বিকট শব্দে ফেটে যায়। এই বুস্টার পাম্প থেকে উত্তর কলকাতার ৪টি ওয়ার্ডের মানুষজন পানীয় জল পান। ভালভ ফেটে পড়ায় সবচেয়ে বেশি জল সংকটের আশঙ্কা ১৩, ১৪, ৩১ ও ৩২ এই চারটি নম্বর ওয়ার্ড এর মানুষজনের। আজ সারাদিন একফোঁটাও পানীয় জল পাবেন কি না তা নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি, উল্টোডাঙা, কাঁকুড়গাছি ও বাগমারির মতো ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা এই ওয়ার্ডগুলিও জলশূন্য হতে পারে। সকাল থেকেই জল নেই ওয়ার্ডগুলিতে। আজ সকাল থেকে জল না পেয়ে নতুন করে ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ। পানীয় জলের তীব্র সংকটে ভুগতে পারে এই ওয়ার্ড ও এলাকাগুলি। তবে রাতে খবর পেতেই জল সরবরাহ বিভাগের ডিজি ও পুরসভার শীর্ষকর্তারা মেরামতির কাজে ছুটে যান। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় মেরামতির কাজ করেন তাঁরা। তবে বুধবার ওই ৪ ওয়ার্ডে পানীয় জল আসবে কি না তা এখনও স্পষ্ট নয়।
দেখুন অন্য খবর